Overblog
Edit post Follow this blog Administration + Create my blog
আলোকিত গ্রাম বাংলা

সত্যের অনুসন্ধান

সাবেক টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শামসুদ্দিন আহমদ চেয়ারম্যানের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ।।

১৯৮৯ সালের মহান বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ পরিদর্শনকালে আলহাজ্ব শামসুদ্দিন আহমদ চেয়ারম্যান।

১৯৮৯ সালের মহান বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ পরিদর্শনকালে আলহাজ্ব শামসুদ্দিন আহমদ চেয়ারম্যান।

আজ ৭নভেম্বর টেকনাফ উপজেলার সাবেক সফল চেয়ারম্যান মরহুম আলহাজ্ব শামসুদ্দিন আহমদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী।

আলহাজ্ব শামসুদ্দিন আহমদ চেয়ারম্যান ১৯৪৩ সালে টেকনাফ উপজেলার ৫নং বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।
১৯৬০ সালে তিনি কক্সবাজার জেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ১৯৬২ সালে তিনি তৎকালীন দক্ষিণ চট্টগ্রামের একমাত্র সরকারি সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ সাতকানিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন।

টেকনাফ উপজেলার দ্বিতীয় ছাত্র হিসেবে ১৯৬৪ সালে তিনি চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ থেকে বি.এ পাশ করেন এবং টেকনাফ উপজেলার প্রথম ছাত্র হিসেবে তিনি ১৯৬৭ সালে ময়মনসিংহ সরকারি বিএড কলেজ থেকে বি.এ.বি.এড সম্পন্ন করেন।
ছাত্রজীবন শেষে তিনি কিছুকাল কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম সরকারি ল্যাবরেটরি উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারি ইংরেজি শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন।কিন্তু খুব অল্পসময়েই টেকনাফ উপজেলার অন্তর্গত ৫নং বাহারছড়া ইউনিয়নের সর্বসাধারণের অনুরোধ ও চাপের মুখে সরকারি চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে ১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করে তিনি বিপুল ভোটে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।১৯৭৩ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত অত্যন্ত সুনামের সহিত তিনি পরপর তিন তিনবার অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
৫নং বাহারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে ১৯৮৬ সালের উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে তিনি টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

শারীরিক অসুস্থতার দরুণ ১৯৯০ সালের পর তিনি সকল রাজনৈতিক কর্মকান্ড থেকে অবসর গ্রহন করেন।
২০১২ সালের আজকের এই দিনে (৭নভেম্বর, ২০১২) তিনি কক্সবাজার শহরস্থ মোহাজের পাড়ার নিজ বাসভবনে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন এবং ইতি ঘটে এক বর্ণাঢ্যময় জীবনের।

আলহাজ্ব শামসুদ্দিন আহমদ চেয়ারম্যান ও তাঁর ৪ সুযোগ্য পুত্র।

আলহাজ্ব শামসুদ্দিন আহমদ চেয়ারম্যান ও তাঁর ৪ সুযোগ্য পুত্র।

মৃত্যুর সময় পরিবারের জন্য কোন অর্থ-কড়ি রেখে না গেলেও তিনি রেখে গেলেন ৪টি সুশিক্ষিত ও সুপ্রতিষ্ঠিত সন্তান।

তাঁর সুযোগ্য সন্তানেরা হলেন-

১-শহিদ উল্লাহ শহিদ,
কো-অর্ডিনেটর,
Migrant Offshore Aid Station (MOAS),
বাংলাদেশ।
সাবেক জাতিসংঘ কর্মকর্তা।
২-হামিদ উল্লাহ হামিদ (চ.বি)
সিনিয়র অফিসার,
ইসলামী আল আরাফা ব্যাংক লিমিটেড।
৩-সাইফ উল্লাহ (ঢা.বি)
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার,
স্ত্রী--রোমানা রহমান সম্পা (ঢা.বি)
উপ সচিব (২৫তম বিসিএস প্রশাসন)।
৪-ফয়েজ উল্লাহ ফয়েজ (চ.বি)
৩৩তম বিসিএস (সা: শিক্ষা)।

Share this post
Repost0
To be informed of the latest articles, subscribe:
Comment on this post